বারাহীনে আহমদীয়া - ৩য় খন্ড: Braheen-i-Ahmadiyya - Part 3

Front Cover

 ১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দে বারাহীনে আহমদীয়া-র প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ডের মূল সংস্করণ প্রকাশিত হওয়ার পর পুস্তকটির পরবর্তী খণ্ড জরুরী ভিত্তিতে পাওয়ার জন্য মুসলিম ও অমুসলিমদের পক্ষ থেকে হযরত ইমাম মাহদী (আ.)-এর নিকট উপর্যুপরি অনুরোধ উপরোধ আসতে থাকে। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশনার জন্য তহবিল অপর্যাপ্ত হওয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হচ্ছিল না। তাই তহবিলে যতটা সংকুলান হয় তা দিয়েই তিনি (আ.) ‘বারাহীনে আহমদীয়া’ পুস্তকের তৃতীয় খণ্ড প্রকাশের ব্যবস্থা নেন।

ফলে ১৮৮২ সালে প্রকাশিত, ‘বারাহীনে আহমদীয়া’ তৃতীয় খণ্ডের মূল পুস্তকটি যেন হঠাৎ করেই শেষ হয়েছে বলে প্রতিভাত হয়। কেননা, তৃতীয় খণ্ডের মূল পুস্তক এবং পাদটীকা-২-এর বিষয়বস্তু চলমান রাখা হয়েছে আর যা ১৮৮৪ সালে প্রকাশিত পুস্তকটির চতুর্থ খণ্ডে গিয়ে সমাপ্ত করা হয়েছে।


 

Common terms and phrases

অতএব অন্য অর্থাৎ আছে আমরা আমাদের আমার আমি আর আল্লাহর উচিত এই এক একটি এখন এটি এবং এমন এর এলহাম এলহামের ঐশী ওপর ওহী কথা কর করতে পারে করবে করা করার করে করেছেন করেন কাছে কাজ কারণে কি কিছু কিন্তু কী কুরআন কুরআন শরীফ কুরআনের কেউ কেন কেননা কেবল কোন ক্ষেত্রে খোদা খোদার গ্রন্থ ছাড়া ছিল জন্য জ্ঞান তা তা'লা তাই তাকে তাদের তার তারা তাহলে তিনি তুমি তোমরা তোমাদের তোমার দিয়েছেন দেখা দেয়া ধর্মীয় নয় নি নিজের নেই ন্যায় পক্ষ থেকে পবিত্র পারে না পূর্ণ প্রকাশ প্রতি প্রমাণ প্রমাণিত বড় বরং বর্ণনা বলে বা বিশ্বাস বিষয় বুদ্ধির ব্যক্তি মনে মাঝে মাধ্যমে মানুষ মানুষের যখন যদি যা যাদের যায় যার যারা যে যেখানে যেন যেসব লাভ সকল সঠিক সত্য সন্দেহ সব সময় সম্পর্কে সম্ভব সাথে সামনে সূরা সৃষ্টি সে সেই সেসব স্পষ্ট স্বীয় হওয়া হতে পারে হবে হয় হয় না হযরত হয়ে থাকে হয়েছে হলো হৃদয়ে হে

About the author (2017)

  প্রতিশ্রুত মসীহ ও ইমাম মাহদী হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আ.) ১৮৩৫ সনে ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের কাদিয়ান নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আজীবন পবিত্র কুরআন-এর গবেষণা ও মাহাত্ম অনুসন্ধান, দোয়া ও একান্ত ধর্মপরায়ণ জীবন যাপন করেন। চারদিক হতে ইসলামের বিরুদ্ধে নোংরা অপবাদ, আক্রমণ, মুসলমানদের চরম অবনতি, নিজ ধর্ম-বিশ্বাসে সন্দেহ-সংশয় ও নামমাত্র ধর্ম পালন ইত্যাদি অবলোকন করে তিনি ইসলামের যথার্থ ও পরিপূর্ণ রূপ প্রকাশের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর বিশাল রচনাসমগ্র (প্রায় ৮৮টি পুস্তক) বক্তৃতা, আলোচনা, ধর্মীয় বিতর্ক (বাহাস) প্রভৃতিতে তিনি অকাট্য যুক্তি উপস্থাপন করে সাব্যস্ত করেন, ইসলাম-ই একমাত্র জীবন্ত ধর্ম এবং একমাত্র এরই বিশ্বাসসমূহ ধারণ ও পালন করার মাধ্যমে মানবকূল তার পরম স্রষ্টার সাথে সম্পর্ক ও যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। পবিত্র কুরআনের শিক্ষা ও ইসলাম ধর্মের বিধি-বিধানই কেবল মানবজাতিকে নৈতিকতা, উন্নততর বুদ্ধিবৃত্তি এবং আধ্যাত্মিকতার স্বর্ণশিখরে পৌঁছাতে পারে। তিনি  ঘোষণা করেন- কুরআন, বাইবেল ও হাদীসের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী মহান আল্লাহ্ তাআলা তাঁকে মসীহ্ ও মাহ্দী হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। ঐশী আদেশে ১৮৮৯ সন হতে তিনি তাঁর হাতে সকলকে একত্র হওয়ার জন্য বয়া’ত গ্রহণ করা শুরু করেন যা এখন বিশ্বের ২০৪টি দেশজুড়ে কোটি কোটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে গেছে। ১৯০৮ সনে প্রতিশ্রুত হযরত মসীহ্ মাওউদ (আ.)-এর মৃত্যুর পর হাজীউল হারমাইন হযরত মাওলানা হেকীম নুরুদ্দীন (রা.) খলীফাতুল মসীহ্ আউয়াল বা প্রথম খলীফা নির্বাচিত হয়ে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন।

১৯১৪ সনে খলীফাতুল মসীহ আউয়াল-এর মৃত্যুর পর হযরত মসীহ্ মাওউদ ও ইমাম মাহদী (আ.)-এর প্রতিশ্রুত পুত্র হযরত আলহাজ্জ মির্যা বশীরুদ্দীন মাহমুদ আহমদ (রা.) দ্বিতীয় খলীফা নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। হযরত মির্যা বশীরুদ্দীন মাহমুদ আহমদ (রা.) প্রায় ৫২ বছর খলীফাতুল মসীহ্ হিসেবে তাঁর কার্যক্রম চালিয়ে যান। ১৯৬৫ সনে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর বড় পুত্র ও ইমাম মাহ্দীর প্রতিশ্রুত পৌত্র হযরত মির্যা নাসের আহমদ (রাহে.) খলীফা নির্বাচিত হন। প্রায় ১৭ বছর জামা’তের অভূতপূর্ব সেবা করার পর ১৯৮২ সনে তাঁর তিরোধান হয়। এরপর তাঁর ছোট ভাই হযরত মির্যা তাহের আহমদ (রাহে.) খলীফা নির্বাচিত হন। ১৯শে এপ্রিল ২০০৩ সন মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত খলীফাতুল মসীহ্ রাবে হযরত মির্যা তাহের আহমদ (রাহে.) জামা’তকে বিশ্বময় ব্যাপক পরিচিতি ও বর্তমানের শক্তিশালী অবস্থায় আনার ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব প্রদান করেন। হযরত মির্যা মাসরূর আহমদ, খলীফাতুল মসীহ্ আল খামেস (আই.) আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের পঞ্চম খলীফা, আধ্যাত্মিক পিতা ও প্রধান হিসেবে বর্তমানে নেতৃত্ব দান করে চলেছেন এবং তিনি প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আ.)-এর আধ্যাত্মিক আশিস লাভকারী এক সৌভাগ্যবান প্রপৌত্র।

Bibliographic information